মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে কৃষকদের ফসল

  Updated Time: 2019-11-12 13:10:34.0


মাঠপর্যায়ের কোনো প্রান্তিক চাষি যেন খাদ্যশস্য বিক্রি করার ক্ষেত্রে নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত না হন, সেজন্য মাঠপর্যায়ের সব প্রান্তিক কৃষককে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এখন থেকেই প্রশিক্ষণ দিয়ে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান-চাল ক্রয় করা হবে।

বাংলাদেশের ১৬টি উপজেলায় চলেছে "কৃষকের অ্যাপ"-এর পাইলটিং কার্যক্রম। এই উপজেলা গুলোতে কৃষক ঘরে বসেই ধান সরবরাহের আবেদন করতে পারবেন। চলতি আমন মৌসুমে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনবে সরকার। আমন ‘কৃষকের অ্যাপ’ এর মাধ্যমে দেশের আট বিভাগের ১৬ উপজেলায় ধান সংগ্রহ করা হবে।
আমন সফল হলে আগামী বোরোতে অ্যাপের মাধ্যমেই সারাদেশের কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে, মিলারদের কাছ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কেনা হবে চাল। এতে সরকারি ধান-চাল কেনায় অনিয়ম-দুর্নীতি অনেকটা কমে যাবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরকারি গুদামে ধান সংগ্রহের জন্য ‘কৃষকের অ্যাপ’ তৈরি করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে অ্যাপটি ডাউনলোড করে কৃষক খুব সহজেই জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।
ধানের নাম, জমির পরিমাণ, কী পরিমাণ ধান বিক্রি করতে চান- তা জানিয়ে ঘরে বসেই সরকারের কাছে ধান বিক্রির আবেদন করতে পারবেন কৃষক। এতে বারবার কৃষকের খাদ্য অফিসে যাওয়ার ঝামেলা নেই অযথা হয়রানি নেই। নিবন্ধন, বিক্রয়ের আবেদন, বরাদ্দের আদেশ ও মূল্য পরিশোধের সনদ সম্পর্কিত তথ্য ঘরে বসেই এসএমএসের মাধ্যমে পাবেন কৃষক। বিক্রয়ের জন্য কোন তারিখে, কোন গুদামে যেতে হবে- সেটাও এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। এতে সময়, খরচ ও হয়রানি কমবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা, আবেদনকারীর সংখ্যা ও ধানের পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। আবেদনকারী বেশি হলে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হবে।
গত ৩১ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে ছয় লাখ টন আমন ধান কিনবে সরকার। একই সঙ্গে ৩৬ টাকা দরে সাড়ে তিন লাখ টন চাল এবং ৩৫ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনা হবে। ২০ নভেম্বর থেকে ধান ও ১ ডিসেম্বর থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হয়ে চলবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
খাদ্য অধিদফতর থেকে জানা গেছে, আমনে ‘কৃষকের অ্যাপ’র মাধ্যমে ধান বিক্রির জন্য আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন কৃষকরা। ধান বিক্রির আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর।
অ্যাপটি তৈরিতে "বাংলাদেশ  কম্পিউটার কাউন্সিল" এর অধীনস্ত "বিএনডিএ" টীম যাবতীয় কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছে ।